মুরগির স্টেফাইলোকক্কোসিস রোগ (Staphylococcosis)

মুরগির স্টেফাইলোকক্কোসিস রোগ

মুরগির স্টেফাইলোকক্কোসিস রোগ (Staphylococcosis) ও চিকিৎসা। মুরগির স্টেফাইলোকক্কোসিস রোগ হচ্ছে Staphylococcus arius নামো এক প্রকার গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া থেকে সৃষ্টি রোগ। সব বয়সের মুরগি এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই রোগ বেশি দেখা যায়।

এই রোগের জীবাণু সারাজীবন জীবদেহের চামড়ায় এবং  মিউকাস মেমব্রানে অবস্থান করে। ফলে সুযোগ পেলেই রোগ সৃষ্টি করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুরগির বাচ্চা এ রোগে তীব্রভাবে আক্রান্ত হয়।

রোগের নামস্টেফাইলোকক্কোসিস (Staphylococcosis)
রোগের ধরণমুরগির ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ
জীবাণুর নামস্টেফাইলোকক্কাস এরিয়াস Staphylococcus arius
সংক্রমণপোল্ট্রি
মৃত্যুর হারকম
সংক্রমন সময়যেকোন বয়সে।
চিকিৎসাচিকিৎসায় রোগ সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়।
মুরগির স্টেফাইলোকক্কোসিস রোগ
স্টেফাইলোকক্কাস এরিয়াস Staphylococcus arius

রোগ ছড়ানোর মাধ্যম

  1. ডিমের সাথে, মানুষের জামা কাপড়, জুতোর মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে।
  2. অস্বাস্থ্যকর হ্যাচারি এবং হ্যাচারিতে কর্মরত লোকজনের মাধ্যমে একদিনের বাচ্চার মধ্যে এ রোগ ছড়াতে পারে।
  3. কোন কারণে ত্বকের মধ্যে ক্ষত হলে ঐ ক্ষতস্থানে রোগের জীবাণু প্রবেশ করে এবং রোগের সৃষ্টি করে।

মুরগির স্টেফাইলোকক্কোসিস রোগের লক্ষণ

  1. আক্রান্ত মুরগির তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
  2. পায়ের গিট ফুলে যায় এবং পরবর্তীকালে পা খাড়া হয়ে যায়।
  3. শরীরের ত্বকের মধ্যে ফোড়া হয় যা ফুলে যায় এবং ত্বকের ক্ষত দেখা দেয় যা থেকে অনেক সময় রক্ত পুঁজ পড়ে।
মুরগির স্টেফাইলোকক্কোসিস রোগ (Staphylococcosis)

মুরগির স্টেফাইলোকক্কোসিস রোগের চিকিৎসা

নিচে উল্লেখিত যেকোনো একটি ভেটেরিনারি ঔষধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে। ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ পোল্ট্রি কনসালটেন্ট বা প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

  1. এনরোসিন- প্রতি লিটার খাবার পানিতে 1 গ্রাম মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়াতে হবে। 
  2. সিপ্রোফ্লক্সাসিন- প্রতি লিটার খাবার পানিতে 1 মিলি মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়াতে হবে।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা

স্বাস্থ্যসম্মত হ্যাচারি এবং  বাসস্থানের জন্য নিয়মিতভাবে জীবানুনাশক ব্যবহার করতে হবে। ডিম এমনভাবে সংগ্রহ করতে হবে যাতে ময়লা না লেগে থাকে। মানুষ বা বাইরের পশুপাখি যেন মুরগির খামারে ঢুকতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

আরো পড়ুন: মুরগির সালমোনেলা রোগ ও ফাউল টাইফয়েড