মুরগির ঠোকরা ঠুকরি বা ক্যানাবলিজম রোগ

মুরগির ঠোকরা ঠুকরি বা ক্যানাবলিজম রোগ

মুরগির ঠোকরা ঠুকরি বা ক্যানাবলিজম রোগ। লেয়ার মুরগির ঠোটাকাটা এবং ব্যবস্থাপনা লেয়ার খামারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুরগির সাধারন অভ্যাস হলো দলের মধ্যে নিজের প্রাধান্য বিস্তার করা। মুরগির ঠোঁট যখন বড় হয় তখন এক মুরগি আরেক মুরগির ঠোঁট থেকে ভয় পায় এবং ভাবে যদি সে আগে নিজেকে রক্ষা করতে না পারে তাহলে সে আক্রমনের শিকার হবে তাই সে আগে ঠোকর দেয়ার চেষ্টা করে। তারপর ক্যানাবলিজমের সৃষ্টি হয়।

এ সমস্ত ঠোকরা ঠুকরির সময় আহত মুরগির দেহ হতে রক্তক্ষরণ হয়। কোন মুরগির দেহে রক্ত দেখা দিলে দলের অন্যান্য মুরগির রক্তের নেশা পেয়ে বসে। তারা আহত মুরগিকে আরো ঠোকরাতে থাকে এবং অনেক সময় ছিড়ে ফেলে। আর এ অবস্থাকে মুরগির রায়ট বলা হযে থাকে।

মুরগির ঠোকরা ঠুকরি রোগের কারণ

  1. খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য মিনারেলের ঘাটতি থাকলে।
  2. ঘরে এমোনিয়া গ্যাস তৈরি হলে।
  3. মুরগি গাদাগাদি অবস্থায় থাকলে।
  4. খাদ্যে লবন কম বা বেশি হলে।
  5. ঘরের মধ্যে সূর্যালোক পড়লে।

প্রতিরোধের উপায়

মুরগির ঠোকরা ঠুকরি বা ক্যানাবলিজম রোগ রোগ কে কিভাবে প্রতিরোধ করবেন? থামারি খামার তৈরি ও ব্যবস্থাপনা ভালো করতে পারলে এই রোগ আসে না। মুরগিকে আরামদায়ক বা স্বাভাবিক পরিবেশে পালন করতে হবে। গাদাগাদি বা চাপাচাপি করে মুরগি পালন করা যাবে না।

লেয়ার মুরগির ঠোট কাটার গুরুত্ব

  1. দিনের বেলায় আলোর তীব্রতাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না.ফলে ঠোকরাঠুকরি বেড়ে যায়। তাই ক্যানাবলিজম রোধ করার জন্য ।
  2. খাদ্যের অপচয় রোধ করার জন্য।
  3. খাদ্যের রুপান্তর (FCR) হার ভাল হয়।
  4. মুরগির মধ্যে সমতা আনার জন্য মানে ইউনিফর্মিটি যাতে ভাল হয়।
  5. ডিমের হার বৃদ্ধি পায়।
মুরগির ঠোকরা ঠুকরি বা ক্যানাবলিজম রোগ

ঠোট কাটার ফলে মুরগির শরিরে বড় রকমের ধকল তৈরি হয়। ঠোট কাটার পর ২-৩ দিন মুরগি খাবার ও পানি কম খায়, শরীরে জ্বর ও ব্যাথা থাকে। এটাই স্বাভাবিক। এজন্য ঠোট কাটার আগে ও পরে বিশেষ ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। ঠোট কাটার পরও মুরগিতে ক্যানাবলিজম বা ঠোটরাঠুকরি দেখাদিলে অবশ্যই খাদ্য ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে।

চিকিৎসা

মুরগি এই রোগে আক্রান্ত হলে অবহেলা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেটেরিনারী ডাক্তার তথা উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্তার পামর্শ ক্রমে ব্যবস্থা নিন। হঠাৎ করে এই রোগ দেখা দিলে পানিতে বা খাদ্যে লবন যোগ করুন। যদি উপকার না আসে তাহলে নিম্নোক্ত ঔষধ বা পুষ্টি প্রিমিক্স খাওয়ানো যেতে পারে।

  1. আযুমিন পাওডার ১ কেজি/১০ কেজি (এসিআই)
  2. এভাইলা জেডএম (রেনাটা)
  3. রক সল্ট

সংশ্লিষ্ট ফ্রী PDF বই

  1. Cannibalism in poultry pdf
  2. cannibalism in poultry pdf

লেয়ার মুরগির খামারির এই রোগ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

আরো পড়ুন: মুরগির গামবোরো রোগ | লক্ষ্মণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *