মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ গুলো কি কি?

মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ

মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ সম্পর্কে বুঝতে হলে মুরগির ঝিমানো রোগ সম্পর্কে আগে জানতে হবে। মজার বিষয় হলো মুরগির ঝিমানো রোগে নামে মুরগির কোনো রোগই আসলে নেই। এটি রোগের একটি উপসর্গ মাত্র। যে কোনো রোগেই মুরগি ঝিমাতে পারে। রানিক্ষেত, গামরোরো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েন্জা, কক্সিডিওসিস (আমাশয়), মাইকোপ্লাজমা (ঠান্ড)) ইত্যাদি রোগে মুরগি ঝিমাতে পারে।

মুরগির খামরিদের জন্য একটি বই দারুণ সহায়ক হতে পারে। বই টি তে মুরগির সাধারণ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রামোক রোগ সহ অন্যান্য পুষ্টি ও ব্যবস্থাপনা ত্রুটি জনিতো রোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ছবি: Pranisampad.com

মুরগির ঝিমানো রোগের চিকিৎসা

মুরগির ফার্মে এই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতো উপোজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে অথবা নিকটস্থ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারী চিকিৎসকের মরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

একজন চিকিৎসক লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে রোগ নির্ণয় পূর্বক চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। ব্রয়লার, লেয়ার, সোনালি, কোয়েল, হাঁস, কবুতর ইত্যাদির ঝিমানোর লক্ষণ দেখা দেয়।

মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ

মুরগির ফার্মে ভাইরাস ঘটিত রোগই ক্ষতির অন্যতম কারন।। এতে আক্রান্ত হলে খামারের মুরগি মারা যায়। ফলে ভাইরাস জনিত রোগ নিয়ে খামারিদের মনে অনেক প্রশ্ন আছে। তাই এবার জেনে নেওয়া যাক মুরগির ঝিমানো রোগের কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে।

মুরগির ১০-১৫ দিন বয়সে গামবোরো রোগ হয়। সাধারণত ৩-৬ সপ্তাহের মুরগির বাচ্চাদের তীব্র আকারে দেখা দেয় । তবে ০-৩ সপ্তাহের বাচ্চায় এ রোগ হতে পারে। মুরগি ছাড়া হাঁস, টার্কি এবং গিনি ফাউলে এ রোগ হয়। আক্রান্ত বাচ্চা মুরগির পায়খানার মাধ্যমে এই ভাইরাস পরিবেশে আসে পরে দূষিত খাদ্য, পানি এবং লিটারের (মুরগির বিছানা) মাধ্যমে এ ভাইরাস এক মুরগি থেকে অন্য মুরগিতে ছড়ায়।