মুরগির এভিয়ান এনসেফালোমাইলাইটিসস রোগ (Avian Encephalomyelitis) পিকরনা ভাইরাস গ্রুপের এন্টেরোভাইরাস দিয়ে সৃষ্ট হয়। এই রোগের মর্টালিটি কম হলেও এটি উৎপাদনে বাধা গ্রস্ত করে। আক্রান্ত মুরগির ডিমের মাধ্যমে এ রোগের ভাইরাস বাহিত হয়ে ঐ ডিম হতে যে বাচ্চা হয় সে বাচ্চা এ রোগে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত মুরগির মল দিয়ে ও খামারের জিনিসপত্রের মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। এই ভাইরাস মুরগির সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে সংক্রমিত হয়।

রোগের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
রোগের নাম | এভিয়ান এনসেফালোমাইলাইটিসস রোগ (Avian Encephalomyelitis) |
রোগের ধরণ | ভাইরাল |
জীবাণুর নাম | এভিয়ান এনসেফালোমাইলাইটিসস ভাইরাস |
সংক্রমণ | মুরগি, হাঁস, কবুতর এবং গিনি পাখি পরীক্ষামূলকভাবে সংক্রামিত হতে পারে। |
মৃত্যুর হার | ১০-২০ % |
সংক্রমণের বয়স | ১ থেকে ৩ সপ্তাহ |
চিকিৎসা | নাই |

এভিয়ান এনসেফালোমাইলাইটিসস রোগের লক্ষণ
- সাধারণত ১ থেকে ৩ সপ্তাহের বাচ্চার মধ্যে এ রোগ টি প্রকট আকারে দেখ দিতে পারে।
- আক্রান্ত মুরগি পিছনের পায়ের উপর ভর করে বসে থাকে।
- সহজে হাটা চলা করতে পারে না, হাঁটা শুরু করলে কাত হয়ে পড়ে যায়।
- খেতে অনিহা দেদখা দেয় ও শুকিয়ে যেতে থাকে।
- ডিমপাড়া মুরগির ডিম দেওয়া কমে যায় এবং ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার হারও হ্রাস পায়।
- মুরগির এভিয়ান এনসেফালোমাইলাইটিসস রোগে সাধারণত ১০-২০% মুরগি মৃত্যুবরণ করে।
চিকিৎসা ব্যবস্থা বা রোগ দমন
ভাইরাস থেকে আক্রান্ত এ রোগের কোন সফল চিকিৎসা নেই।আক্রান্ত মুরগি গুলোতে দ্বিতীয় পর্যায়ের কোন ইনফেকশন যেন না হয় সেজন্য এন্টিবায়টিক ঔণধ ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এই রোগ যাতে না হয় সেজন্য বায়ো সিকিউরিটি ভালোভাবে মেনে চলতে হবে।