গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম বা পদ্ধতি গুলো গরু পালন কারিদের কাছে অতি সাধারন বিষয় মনে হলেও আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় এটি প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।।গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম বা পদ্ধতিতে ভুল করলে উৎপাদন কমে যাবে এবং খরচ প্রচুর বৃদ্ধি পাবে। আর তাই গরুকে খাবার খাওয়ানোর বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তিগুলো আমাদের জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী গরুকে খাদ্য প্রদান করতে হবে।
গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম
- গরুর মোট খাদ্য চাহিদার ৬০ ভাগ খর, ঘাস, সাইলেজ ইত্যাদি তন্তু বা ফাইবার জাতীয় খাবার ও ৪০ ভাগ দানাদার বা কনসেন্ট্রেট খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
- তন্তু বা ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কাচা খাস বা সাইলেজ এর পরিমান যেন ৫০-৬০ ভাগ নিশ্চিত করা যায়।
- কনসেন্ট্রেট বা দানাদার খাদ্য হিসাবে যেকোন একটি খাদ্য উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। আমরা অনেকেই এখানে ভুল করে থাকি।
- গরুর জাত, বয়স ও সারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে একটি সুষম খাদ্য তৈরি করতে হবে। গরুর এই দানাদার খাদ্য কে বিভিন্ন নিয়মে সরবরাহ করা যেতে পারে।
- মোট চাহিদার ৪০ ভাগ ফার্মান্টেড কর্ণ ও ৬০ ভাগ দানাদার খাদ্য মিশ্রিত করে খেতে দেওয়া যেতে পারে।
- দানাদার খাদ্য পিলেট আকারে সরবরাহ করা যেতে পারে।
- দানাদার খাদ্য শুষ্ক বা নরম অবস্থায় সরবরাহ করা উত্তম। এতে গরুর হজম প্রক্রিয়া বালো থাকে।
- দানাদার খাদ্য কাওয়ার ৩০-৪৫ মিনিট পর থেকে গরুর সামনে নিরবিচ্ছিন্ন পরিষ্কার পানি সরবরাহ রাখতে হবে।
- গরুকে তার চাহিদার অতিরিক্ত খাদ্য কখোনই দেওয়া যাবে না।
- গরুকে পঁচা বাসি খাবার দেওয়া যাবে না।
- অপ্রচলিত খাবার বা মৌসুমি কিছু খাবার যেমন বিভিন্ন সব্জি, আম-কাঠালের খোসা, মিষ্টি আলু, বিভিন্ন প্রকার ডাইল বা এর অংশ সাবধানতার সাথে অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে প্রাণিকে অভ্যস্ত করতে হবে।
- গরু মাটির ৪ ইন্চি উপর থেকে খাবার খেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে এবং তার শারীরিক গঠনের সাথে উৎকৃষ্ট খাদ্য প্রদানের পদ্ধতি। এভাবে খাবার খেলে গরুর হজম ভালো হয় এবং সর্বপরি উৎপাদন ১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
- দানাদার খাদ্যের সাথে পরিমান মত ভিটামিন, মিনারেল মিশ্রিত করা উচিত।
গরু মোটাতাজাকরণ খাদ্য তালিকা শীর্শক লেখাটি আপনাদের দানাদার খাদ্য তৈরিতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে সেটি পড়তে পারেন।
আরো পড়ুন: গরুকে পানি খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম
