কবুতরের ছবি, স্বভাব ও জীবনচক্র। সকল প্রকার কবুতরের ছবি। পিজিয়ন মিল্ক বা কবুতরের দুধের গঠন ও পুষ্টিগুণ, স্কোয়াব বা বাচ্চার দুধ ছাড়ানোর বয়স। নিম্নে কবুতরের স্বভাব ও জীবন চক্র দেওয়া হলো।
কবুতরের স্বভাব ও জীবন চক্র
- কবুতর সাধারণত বৃক্ষ বা গাছ পছন্দ করে। এরা নিজেদের বাসা নিজেরাই তৈরি করে এবং গাছের ডালে বসে থাকে।
- এরা পানিতে ঠোট প্রবেশ করিয়ে অনবরত ঢোক গেলার মাধ্যমে পানি পান করে।
- গৃহপালিত কবুতরগুলো পুরুষ ও স্ত্রী জোড়া বেধে আজীবন এক সাতে বাস করে।
- কবুতরের জীবনকাল ১২ থেকে ১৫ বছর।
- স্ত্রী কবুতরকে নারী েপুরুষ কবুতরকে নর বলা হয়।
- স্ত্রী-পুরুষ উভয়ে মিলে খর কুটো সংগ্রহ করে এবং বাসা তৈরি করে।
- ৫-৬ মাস বয়সে স্ত্রী বা নারী কবুতর ডিম পাড়া শুরু করে।
- এরা ২৮ দিন অন্তর ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে ২ টি ডিম পাড়ে।
- স্ত্রী ও পুরুষ উভই পালা করে ডিমে তা’ দেয়। এবং ‘১৬-১৮ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
- ডিমে তা’ দেয়ার ১৫-১৬ দিনের মধ্যে স্ত্রী ও পুরুষ উভয় কবুতরেরই খাদ্য থলিতে দুধ জাতীয় তরল বস্তু তৈরি হয়। এ তরল আঠালো দুধজাতীয় পদার্থ কে পিজিয়ন মিল্ক বা কবুতরের দুধ বলে। বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার পর ৫-৭ দিন পর্যন্ত কবুতর তাদের বাচ্চাদের কে ঐ প্রিজিয়ন মিল্ক তাদের বাচ্চাদের কে ঠোট দিয়ে খাওয়ায়। কবুতরের দুধ অত্যান্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য।
- চার সপ্তাহ বয়সে কবুতরের বাচ্চা খাওয়া ও বিক্রির উপযুক্ত হয়।

প্রিজিয়ন মিল্ক বা কবুতরের দুধের গঠন
পিজিয়ন মিল্ক (PIGEON MILK) বা কবুতরের দুধের গঠন ও পুষ্টিগুণ নিম্নরূপ হয়ে থাকে-
- পানি- ৭০%
- আমিষ বা প্রোটিন- ১৭.৫%
- চর্বি বা ফ্যাট- ১০%
- খনিজ- ২.৫%
স্কোয়াব বা বাচ্চার দুধ ছাড়ানোর বয়স
স্কোয়াব বা ছোট কবুতরের জীবনে এ সময়টি খুবই সংকটময়। এসময় বাবা ও মা কবুতর অন্য এক জোড়া ডিম ফোটানোর কাজে ব্যস্ত থাকে। এসময় স্কোয়াবকে নিজেই শিখতে হয় কিভাবে খেতে হয় ও পানি পান করতে হয়। তখন পরিচর্যা করতে সাধারণত তার সাথে খাওয়া ও পানি পান করিয়ে দিতে হয়। অন্যথায় এরা অপুষ্টিতে ভোগে এবং স্কোয়াবের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
বাণিজ্যিক ভাবে স্কোয়াব উৎপাদনের ক্ষেত্রে কবুতরের খাদ্যে শস্যদানা সরবরাহ করতে হয়। প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহের জন্য স্কোয়াবের রেশনে সবুজ শাক্ সব্জি সরবরাহ করা উচিত। এতে তাদের বৃদ্ধি ভালো হয়। স্কোয়াবের রেশনে শতকরা ১২-১৪ ভাগ প্রোটিন / আমিষ থাকা উচিত।
কবুতরের ছবি



পরিশেষে কবুতর পালন খামারিদের বলবো কবুতরের খাদ্য ও ঔষধ ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সুতারাং এখানে অবহেলা করবেন না। নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ান ও বাসস্থান পরিষ্কার রাখুন।
আরো পড়ুন- ৫ টি কবুতর পালন বই pdf download