চিটাগুড়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

চিটাগুড়ের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা আপনাকে স্বাগতম। চিটাগুড় একটি বহুমুখি পুষ্টিদায়ক ও মুখরোচক তরল খাদ্য যা প্রানিকে খাদ্যের মাধ্যমে সকল দরকারি পুষ্টি সরবরাহ করে।

চিটাগুড়ের পুষ্টিগুণ

  1. ড্রাই ম্যাটারঃ ৭১%
  2. শক্তিঃ ৯.৬ মেগাজুল/কেজি,
  3. প্রোটিনঃ ৫.৫%
  4. ফ্যাটঃ ১.০%
  5. ফাইবারঃ ০.১%
  6. অ্যাশঃ ১৪.৬%
  7. ক্যালসিয়ামঃ ৯.২ গ্রাম/কেজি
  8. ফসফরাসঃ ০.৭ গ্রাম/কেজি
  9. পটাশিয়ামঃ ৫১.০ গ্রাম/কেজি
  10. ম্যাগনেসিয়ামঃ ৪.০ গ্রাম/কেজি
  11. ম্যাঙ্গানাজঃ ৭৪.০ গ্রাম/কেজি
  12. জিংকঃ ১৮ গ্রাম/কেজি
  13. আয়রনঃ ১৭৩ গ্রাম/কেজি

চিটাগুড়ের উপকারিতা সমূহ

  1. প্রচুর এনার্জি (শক্তি) সরবরাহের মাধ্যমে প্রাণিকে মোটাতাজা করে বা উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  2. প্রাণির শরীরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ সহ সকল দরকারি পুষ্টির ঘাটতি পুরণ করে।
  3. খাদ্যের স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি করে।
  4. খাদ্য গ্রহনের রুচি ও হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  5. পরিপাক তন্ত্রের উন্নতি ঘটায়।
  6. গাভী গরুর দুধের উৎপাদন রৃদ্ধি করে।
  7. ছাগল ও ভেড়ার দ্রুত দৈহিক ওজন বৃদ্ধি করে।
  8. মহিষ, ঘোরা ইত্যাদি কর্মঠ প্রাণির কাজ করার শক্তি বৃদ্ধি করে।
  9. দুবর্ল প্রাণির শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।
  10. দানাদার, ইউএমএস, ইউএমএমবি, সাইলেজ ইত্যাদি তৈরির অত্যবশকীয় উপাদান।
  11. পুকুরের পানিতে ব্যবহারে পানির মান ও প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  12. খামারের খাদ্য খরচ কমায়।

চিটাগুড়ের ব্যবহার

চিটাগুড় সরাসরি আহারযোগ্য পশু খাদ্য হলেও এর বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। চিটাগুড়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবহার হচ্ছে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) তৈরিতে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান খামারীদের কে ইউএমএস তৈরিতে প্রশিক্ষণ ও ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করছে।রেডি ফিড মিলে চিটাগুড়ের ব্যপক ব্যবহার হয়ে থাকে। এছারাও কাচাঘাস বা খড়ের সাইলেজ তৈরিতে চিটাগুড় ব্যবহার হয়। চিটাগুড়ের উপকারিতা অনেক।

গবাদী পশুকে চিটাগুড় খাওয়ানর নিয়ম

  • বড় প্রাণি(গরু, মহিষ, ঘোড়া)- ১০০-২০০ গ্রাম/প্রতিবার খাবারের সাথে/প্রতিদিন।
  • ছোট প্রাণি(ছাগল, ভেড়া০- ৫০-১০০ গ্রাম/ প্রতিবার খাবারের সাথে/প্রতিদিন।
  • ইউএমএস- খড়, চিটাগুড়, ইউরিয়া যথাক্রমে ৮২:১৫:৩ অনুপাতে
  • রেজিস্ট্রাড প্রাণি চিকিৎশক বা পুষ্টিবিদের পরার্মশ অনুযায়ি।

নির্দেশনা

  • প্রাণি চিটাগুড় খেতে উৎসাহি না হলে প্রতিদিন খুব সামান্য পরিমানে খাওয়ার অভ্যাস করুন এতে খুব তারাতারি তার প্রিয় খাদ্যে পরিনত হবে।
  • প্রাণিকে সঠিক নিয়মে কৃমি মুক্ত করুন এবং প্রতি ৩-৬ মাস অন্তর অন্তর কৃমি নাষক ঔষধ প্রয়োগ করুন।

সংরক্ষণ- ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুর।

আরো পড়ুন: ইউরিয়া বা নন প্রোটিন নাইট্রোজেন