বাছুরের রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস রোগ

বাছুরের রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস রোগ

বাছুরের রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস রোগ। খামারে পালিত গবাদিপশুর মাঝে মাঝে যেসকল রোগ ব্যাধি দেখা দেয় তার মধ্যে কক্সিডিওসিস বা রক্ত আমাশয় রোগ অন্যতম। বিশেষ করে ৩-৬ মাস বয়সী বাছুরের রক্ত আমাশয় বা কক্সিডিওসিস রোগ বেশি দেখা দেয়। কখনও কখনও প্রাপ্ত বয়স্ক গবাদিপশুতেও এ রোগ দেখা যায়। বিভিন্ন প্রজাতির প্রোটোজোয়ার সংক্রমনে এই রোগ হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত হলে বাছুরের গ্রোথ অনেক কমে যায়।

বাছুরের রক্ত আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ককসিডিওসিস বা রক্ত আমাশয় আইমেরিয়া গনভূক্ত বিভিন্ন প্রজাতির প্রোটোজোয়া গরু মহিষসহ অন্যান্য গৃহপালিত পশুর রক্ত আমাশয় রোগের জন্য দায়ী। এই প্রোটোজোয়া খাবার বা অন্য কোন ভাবে অন্য গরুর পেটে গেলেও এই রোগ হয়।

বাছুরের এটি একটি মারাত্বক রোগ। অবহেলা করলে বাছুর মারা যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে বাছুর দ্রুত দুর্বল হতে থাকে। খাওয়া দাওয়া একদম কমিয়ে দেয় অবশেষে বাছুর মারা যায়। আর তাই বাছুরের প্রতি শতভাগ যত্নশীল হতে হবে।

রক্ত আমাশয় রোগের লক্ষণ

  1. প্রাথমিক অবস্থায় দুর্গন্ধযুক্ত ও সাদা মিউকাস মিশ্রিত পাইখানা বা ডায়রিয়া হয়। এতেকরে প্রানীতে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয় ও দূর্বল হয়ে পরে। এ সময় মৃদুজ্বর হয়েএবং ধীরে ধীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়। কয়েকদিন পর থেকে পায়খানার সাথে রক্তের ছিটা ও আম দেখা যায়। সংক্রমণ পুরাতন হলে পায়খানায় রক্ত ও আম বাড়তে থাকে।
  2. কখনো কখনো লেজের গোড়ায় রক্ত মিশ্রিত মল বা পাইখানা লেগে থাকে।
  3. হঠাৎ করে পায়খানা শুরু হয়
  4. পায়খানার সময় ঘন ঘন কোথ দেয়
  5. পায়খানা খুবই দুগর্ন্ধযুক্ত
  6. আক্রান্ত পশু দিন দিন দূর্বল হতে থাকে
  7. কখনো কখনো তীব্র কোৎ দেয়ার ফলে অন্ত্র বাহিরে বেরিয়ে আসে।
  8. তীব্র রোগে পেশীর কম্পন ও খিঁচুনি হয়।
  9. পশুর মল বা গোবর অনুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করলে আইমেরিয়ার উসিস্ট অংশ দেখতে পাওয়া যায়।
বাছুরের রক্ত আমাশয়

ককসিডিওসিস রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা

  1. গবাদিপশুর স্বাস্থ্যসম্মত বিধি ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
  2. গবাদিপশুর বাচ্চা প্রসব ও লালন-পালনের স্থান শুষ্ক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  3. গবাদিপশুর বাচ্চা পালনের ঘরে সঠিক পরিমান যাইগার ব্যবস্থা করতে হবে।
  4. গবাদিপশুর খাদ্য ও পানী মলের সাথে লেগে যেন কোন ভাবেই দূষিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  5. ঠাসাঠাসিভাবে গবাদিপশুর পালন পরিহার করা উচিত।
  6. গরুর খাবারের পাত্র সবসময় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্য রাখতে হবে।
  7. গরুকে সবসময় টাটকা ও বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবেঅ

বাছুরের রক্ত আমাশয় রোগের ঔষধ

বাছুরের রক্ত আমাশয় দেখাদিলে ভেটেরিনারি চিকিৎশকের পরামর্শে ঔষধ প্রয়োগ করলে এই রোগ সহজেই ভালো হয়। আমাদের অনেক খামারি এই রোগের ঔষধ সম্পর্কে কম বেশি ধারনা রাখে। যারা নতুন খামারি তাদের জন্য কিছু ঔষধের নাম উল্লেখ করছি।

  1. Sulphadiazin & Trimethoprim (Bolus & Injection)
  2. Triplesulpha & Stroptomycin (Bolus & Injection)
  3. Oxytetracyclin (Injection)
  4. Metronidazole (Boulas)

বাছুর কে সবসময় ওরাল স্যালাইন খেতে দিতে হবে। ছুরের রক্ত আমাশয় রোগ হলে এসময় বাছুরের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সবধানতার সাথে করতে হবে। সহজ পাচ্য খাবার ও ফাইবার যুক্ত খাবার সরবরাহ করতে হবে।

আরো পড়ুন- গরুর পেট ফাঁপা রোগ, গরুর এফএমডি বা ক্ষুরারোগ

2 thoughts on “বাছুরের রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস রোগ”

  1. Md Munjurul Haque mony

    inj…..marbo vet …,,. 3days after 24 hours Inj… Astra vet…,……3days after 24 hours inj….tracid vet…….3 days after 12 hours. .pow……amprol Ep…….1-0-1 3 days

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *