ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স- কোটি কৃষকের অনুপ্রেরণার নাম।

ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স

ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স কে এখন অনলাইনে সক্রীয় অনেক কৃষক ও খামারিগণ কম বেশি চিনেছেন। তার কচুর লতি বিক্রির ছবিটি বেশ কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়েছে। তবে কৃষির সাথে যুক্তরা তাকে তারো অনেক আগে থেকে চিনতে শুরু করেছে। তার কৃষি উদ্যোগ ও কর্মকান্ডে মুগ্ধ হয়ে সাইখ সিরাজ হৃদয়ে মটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স

ড. প্রিন্সের কৃষি উদ্যোগ ও কাজকে তুলো ধরা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তার ছেলে। বাবার সেনাবাহীতে চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় সেনা নিবাসে বসবাস করতেন তিনি। ২০০২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৮ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি থেকে কৃষি ব্যবসায় এমবিএ ডিগ্রি নেন।

এরপর ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কৃষি উদ্যোগ দেশে নানভাবে প্রশংশিত হয়েছে।

কৃষি উদ্যোগ

তবে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। এই সুবাধে গত ৮ বছর ধরে তিনি কৃষিকে ভালোবেসে এই গ্রামেই বাণিজ্যিকভাবে ৭ একর জমিতে ‘কৃষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ’ নামে গড়ে তুলছেন বিশাল কৃষি খামার। ড্রাগন ফল চাষ করে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ড্রাগন প্রিন্স নামে।

বাজারে প্লাস্টিকের টুলে বসে কচুর লতি বিক্রি করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবু বকর সিদ্দিক (প্রিন্স)। তাঁর এই ছবি একজন ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়েছিল। তাঁকে নিয়ে আলোচনা–সমালোচনায় যোগ দিয়েছিলেন বহু মানুষ।

এই ত্যাগ ও কৃষির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার নিদর্শন কোটি কৃষক ও খামারীর অনুপ্রেরণার উদাহরণ হয়ে থাকবে।

আরো পড়ুন: কৃষিবিদ ডা. মো. নুরুল আমিন স্যার

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *