গাভীর ড্রাই পিরিওড বা দুধ বিহীন সময় টি কেন গুরুত্বপূর্ণ ?

গাভী পালন বই pdf

গাভীর ড্রাই পিরিওড বা দুধ বিহীন সময় টি কেন গুরুত্বপূর্ণ ? সর্বোচ্চ দুধ উৎপাদন ও ম্যাসটাইটিস নিয়ন্ত্রনে গাভীর ড্রাই পিরিওড ম্যানেজমেন্ট অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আলোচনার শুরুতে জেনে নেওয়া যাক গাভী গরুর ড্রাই পিরিওড কী? একটি গাভীর প্রজনন চক্রের যে সময় টিতে দুধ উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় সে সময় টিকে গরুর ড্রাই পিরিওড বা দুগ্ধহীন সময় বা শুষ্ক কাল বলা হয়।

সাধারণত এই সময়টি পুনরায় বাছুর প্রসবের ৪৫-৬০ দিন পূর্ব থেকে পরবর্তি বাছুর প্রসব পর্যন্ত হয়। অর্থাৎ গাভীর সম্ভাব্য বাচ্চা প্রদানের দিন থেকে ৪৫-৬০ দিন আগের সময়টাই গাভীর ড্রাই-প্রিওড।

গাভীর ড্রাই পিরিওড

গাভী গরুর এই দুধ বিহিন সময়াট অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় কেননা এই সময়ে গাভী নিজেকে পরবর্তী ল্যাকটেশনের জন্য তৈরি করে। এসময় গাভী দুধ উৎপাদন বন্ধ কোরে পরবর্তি প্রজনন সম্পন্ন করার জন্য সকল দরকারি ঘাটতি পুরণ করে। এতে-

  1. গাভীর ওজন বৃদ্ধি পায়,
  2. শরীরের দরকারি পুষ্টি ঘাটতি পুরণ হয়,
  3. নবজাতক বাচ্চার সঠিক ওজন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়,
  4. গাভীর ওলান বিশ্রাম পায়,
  5. ওলানের টিস্যুগুলো রিজেনারেট হওয়ার সুযোগ পায়,
  6. গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ও
  7. ম্যাসটাইটিসের ঝুকি ৭০% কমে যায়।

আমাদের দেশি গাভীর ক্ষেত্রে দেখা যায় নরমালি ২-৩ মাস আগে দুধ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অধীক উৎপাদনশীল গাভীগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় ১ মাস অথবা ১৫ দিন আগে দুধ বন্ধ হয় যা গাভী ও নবজাতক বাছুরের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় দুধ বন্ধই হয় না। বাচ্চা প্রদানের আগের দিনেও ৫-৭ লিটার দুধ প্রদান করে।

গাভীর ড্রাই পিরিওড ম্যানেজমেন্ট সঠিক ভাবে সম্পন্ন না হলে গাভীর শরীর, দুধ উৎপাদন ও প্রজনন ক্ষমতার অবনতি ঘটে। এতে একটি অধিক উৎপাদনশীল গাভী তার সর্বোচ্চ উৎপাদনে আসার আগেই নষ্ট হয়ে যায়।

আরো পড়ুন: গাভীর মিল্ক ফিভার বা দুগ্ধ জ্বর রোগঃ কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

2 thoughts on “গাভীর ড্রাই পিরিওড বা দুধ বিহীন সময় টি কেন গুরুত্বপূর্ণ ?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *