কৃষিবিদ ডা. মো. নুরুল আমিন স্যার

কৃষিবিদ ডা. মো. নুরুল আমিন

কৃষিবিদ ডা. মো. নুরুল আমিন স্যার বাংলাদেশের ডেইরি খামারিদের হৃদয়ের মনিকোঠায় অবস্থান করে নিয়েছেন। ডা. মো. নুরুল আমিন অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডেইরি খামারিদের খুব কাছাকাছি পৌছেতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশের ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নে নুরুল আমিন স্যারের ভুমিকা অম্লান, চির স্বরণীয় হয়ে থাকবে।

কৃষিবিদ ডা. মো. নুরুল আমিন

শীক্ষাকাল

তিনি যশোরের চৌগাছা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় নারায়েনপুর বিইউবিএল হাই স্কুল থেকে ১৯৭৪ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন। এবং ১৯৭৬ সালে সরকারি এম.এম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তির্ণ হন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে তিনি ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রী অর্জণ করেন।

কর্ম ও জীবন

তিনি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও পরবর্তিতে উপ পরিচালক হিসাবে দায়িক্ত পালন করেছেঁন। জনাব ডা. মো. নুরুল আমিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি (CVASU) এর একজন এক্সট্রানাল একজামিনার ছিলেন।

তিনি রেনাটা লিমিটেডে পার্ট টাইম ট্রেইনিং কনসালট্যান্ট, এসিআই এনিমেল হেল্থ এ ন্যাসনাল লাইভস্টক কনসালট্যান্ট হিসাবে দায়ীত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে আমেরিকান ডেইরি লিঃ, নর্দান হ্যাচারি লিঃ, সাজিদা ফাইন্ডেশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালিন দায়িত্ব পালন কতরেন।

কৃষিবিদ ডা. মো. নুরুল আমিন

কৃষিবিদ ডা. মো. নুরুল আমিন স্যার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এক্টিভ থাকতেন এবং অনলাইনে খামারের সমস্যা ও করনীয় বিষয়সমূহ তুলে ধরতেন। ডেইরি খামারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও আপলোড করেছেন, যা দেশের গবাদিপশু ও পোল্ট্রি খামারিদের অনেক দিন ধরে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাবে।

তার ইউটিউব চ্যানেলে আজ অবধী ৫৭+ হাজার সাবস্ক্রাইব। একজন খামারি যদি তার সবগুলো ভিডিও দেখেন আমার বিশ্বাস সে গবাদিপশু পালন প্রশিক্ষনের অর্ধেকটা অর্জন করতে পারবে। বাকীটা খামার থেকে প্র্যাকটিক্যালি অর্জন করতে হবে।

তার ফেসবুক আইডিতে তিনি নিজের বিষয়ে লিখেছেন- “ম‌নে প্রা‌ণে আমি একজন খাটি ভে‌টে‌রিনা‌রিয়ান এবং এটাই আমার সব থে‌কে বড় প‌রিচয় ও পেশা।”

সংগঠন

ডা. মো. নুরুল আমিন অনেকগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। এগুলোর মধ্যে উল্যেখযোগ্য হলো-

  1. অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অব রেবিজ ইন বাংলাদেশে (APCRIB),
  2. BCS লাইভস্টক ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন,
  3. বাংলাদেশ নেচার কনজারভেশন সোসাইটি (BNCS),
  4. বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন,
  5. কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, ন্যাশনাল একাডেমি ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (NAPD),
  6. ওয়ান ওয়ার্ল্ড ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ,
  7. ওয়ার্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যান্ত সৎ ও ধার্মিক ছিলেন। তিনি ১০ আগস্ট ২০২০ সালে করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আমরা তার বিদেহী আত্বার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করি।

আরো পড়ুন: শাইখ সিরাজ- কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *