মুরগির করাইজা রোগ (Infectious Coryza)। Haemophillus gallinarum নামক এক প্রকার গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া থেকে মুরগির করাইজা রোগ সৃষ্টি হয়। সব বয়সের মোরগ ও মুরগি এই রোগ আক্রান্ত হয়ে থাকে।
রোগ পরিচিতি
রোগের নাম | ইনফেকশাস করাইজা (Infectious Coryza) |
রোগের ধরণ | মুরগির ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ |
জীবাণুর নাম | হেমোফিলাস গ্যালিনেরাম (Haemophillus gallinarum) |
সংক্রমণ | পোল্ট্রি |
মৃত্যুর হার | ০-৭০% |
সংক্রমন সময় | যেকোন বয়সে। |
চিকিৎসা | চিকিৎসায় রোগ সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়। |

রোগ ছড়ানোর মাধ্যম
- বায়ুর ধূলিকণার মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে।
- অসুস্থ মুরগির নাচ এবং মুখ হতে নিঃসৃত পদার্থ যা লিটার, পানি ও খাদ্য দূষিত করে এবং সুস্থ মুরগিতে এই রোগ ছড়ায়।
মুরগির করাইজা রোগের লক্ষণ
- চোখ ও মাথা ফুলে যাবে।
- নাক এবং মুখ দিয়ে পানি পড়বে।
- আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে চোখ বন্ধ হয়ে যাবে।
- নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে এবং গলা থেকে ঘরঘর শব্দ বের হবে।

মুরগির করাইজা রোগের চিকিৎসা
নিচে উল্লেখিত যেকোনো একটি ঔষধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ পৌলট্রি কনসালটেন্ট বা প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
- কসুমিক্স ক্লাস প্রতি লিটার খাবার পানিতে দুই থেকে 2.5 গ্রাম মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়াতে হবে
- সুপার টি এস 1 প্রতি 5 লিটার খাবার পানিতে 1 গ্রাম মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়াতে হবে
- মাইক্রোনিড প্রতি লিটার খাবার পানিতে 0.5 থেকে 1.0 গ্রাম মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা
সর্বদা মুরগির খামারের ঘরগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত বিধিব্যবস্থা অবলম্বন করা উচিত। এ রোগের বিরুদ্ধে সময়মতো টিকা প্রয়োগ করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। যেসব উৎস হতে এ রোগের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে সে উৎস গুলো কঠোরভাবে প্রতিহত করতে এ রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।