ব্রয়লার মুরগির জাত। বিভিন্ন জাতের ব্রয়লার মুরগি বিভিন্ন দেশে পালন করা হয়। যেসব নরম মাংসওয়ালা মোরগ বা মুরগি ৫-৬ সপ্তাহের মধ্যে গড় ওজন ২ কেজি হয়ে থাকে এবং খাদ্যকে মাংসে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা ১.৮:১ অর্থাৎ গড়ে ১.৮ কেজি বা তার চেয়ে কম খাদ্য গ্রহণ করে ১ কেজি মাংস উৎপাদন করতে সামর্থ তাদের কে ব্রয়লার মুরগি বলা হয়।
আমাদের বাংলাদেশেও এর কয়েকটি জাত রয়েছে যা বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়েছে।
ব্রয়লার জাতের মুরগি পালনের উদ্দেশ্য
- ব্রয়লার মুরগি দ্রুত বর্ধণশীল বিধায় অল্প সময়ে অধিক মাংশ উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
- কম সময়ে স্বল্প মূলধনে নগদ টাকা উপার্জন করা।
- গ্রাম ও শহরের বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের আত্বকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ও জীবনযাপনের মান উন্নত করা।
- দারিদ্র বিমোচন করা।
ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপনের সুবিধা
- অল্প পুজিতে ব্রয়লার মুরগির কামার স্থাপন করা যায়।
- দেড় মাসের মধ্যে লাভ সহ মূলধন ফেরত পাওয়া যায়।
- তুলনামুলক অন্যান্য খামারের চেয়ে ঝুাক কম।
- খুব দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না।
- অধিক শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না।
- কম জায়গার প্রয়োজন হয়।
- সারা বছর ব্রয়লার মুরগি পালন করা যায়।
- অল্প পুঁজিতে আত্বকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়।

ব্রয়লার মুরগির জাত
বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদনের জন্য বাছাই ও ছাটাই পদ্ধতি অনুসরণ করে মাংস উৎপাদনশীল দুই বা ততোধিক বিশুদ্ধ জাতের মোরগ-মুরগির বিশুদ্ধ লাইন তৈরী করে তাদের মধ্যে মিলন ঘটিয়ে ব্রয়লার হাইব্রিড তৈরী করা হয়। একমাত্র মাংস উৎপাদনের জন্য এ ব্রয়লার স্ট্রেইন তৈরি করা হয়। এরা দ্রুত বর্ধনশীল মোরগ-মুরগি।
বাণিজ্যিকভাবে উৎপন্ন ব্রয়লার স্ট্রেইনের নাম
- ইসা ভেডেট ই- ৭৫৭
- ইসা এমপিকে- ৩০
- সেভার স্টারবো
- সেভার ট্রাপিকব্রো
- সেভার মিনি ব্রো
- হাইব্রো
- আরবার এক্রস
- কাছিলা হাব্ চিকস্
- এভিয়ান
- ভেনকব
- রস
- হাবার্ড ক্লাসিক
- হাবার্ড হাই-ওয়াই
- হাইসেক্স-জি
- কব-১০০
- সি এন্ড এম ক্লাসিক
- কব্-৫০০
বাংলাদেশে কব্ ৫০০ নামের ব্রয়লার মুরগির জাত টি খুব বেশি পপুলার। নারীস (Nourish) সহ অনেক গুলো ব্রয়লার বাচ্চা উৎপাদনকারী হ্যাচারী এই জাতের ব্রয়লার মুরগির ১ দিনের বাচ্চা উৎপাদন ও বাজারজাত করে।
আরো পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির ঘর তৈরির বিভিন্ন দিক